এক যুগের বেশি সময় ধরে মাদক কারবারে জড়িত দুই ভাই নুরুল হুদা ও নুরুল কবির। তাঁরা আত্মস্বীকৃত মাদক কারবারি। সরকার চিহ্নিত বড় মাদক কারবারিদের সুপথে ফেরাতে আত্মসমর্পণের সুযোগ দিয়েছিল। ওই সময় হুদা ও কবির আত্মসমর্পণ করেন। এরপর বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও সিআইডির মানি লন্ডারিং ইউনিট হুদা ও কবির এবং রমজান ও আরশাদের ব্যাংকিং হিসাব নিয়ে তদন্ত চালায়। ওই তদন্তের কিছু গোপন নথি সমকালের হাতে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, মাদক কারবারের আয় থেকে চক্রটি বিপুল বিত্তের মালিক হয়েছে। মাদকের টাকা লেনদেনে তাঁরা ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করেন। নুরুল হুদা মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এনে তাঁর ভাই নুরুল কবিরের মাধ্যমে ঢাকায় রমজান ও আরশাদের কাছে পৌঁছে দিতেন। এরপর ঢাকার পাইকারি বিক্রেতাদের হাতে পৌঁছে দিতেন তাঁরা। এই চক্রের বড় আস্তানা ছিল রায়েরবাগ ও চিটাগাং রোড। পুরো চক্রটির একসময় বৈধ আয়ের কোনো উৎস ছিল না। মাদক কারবারের মাধ্যমে বিপুল টাকা হাতে আসার পর তাঁরা নানা ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে থাকেন। হুদা টেকনাফে মাছ ও গরু-মহিষের খামার এবং পোলট্রি ফার্ম গড়ে তোলেন। টেকনাফে প্রচুর জমি কিনতে থাকেন।
সিআইডির মানি লন্ডারিং ইউনিটের নথি বলছে, মাদকের টাকায় হুদা নিজ নামে টেকনাফে ৪০ শতাংশ জমি কিনেছেন, যার সাফ কবলা দলিল নম্বর-৭৫১/১৫। ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল ওই জমি কিনেছেন তিনি। একইভাবে প্রায় একই সময় রমজান ও আরশাদ ঢাকার খিলগাঁওয়ে ৮.২৫ শতাংশ জমি কিনেছেন। ওই জমির সাফ কবলা দলিল নম্বর- ৯৮৭৮/১৪। এ ছাড়া মাদক কারবারের টাকা আরশাদ ‘এ আর’ ফ্যাশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন। সুত্র: সমকাল
পাঠকের মতামত